জনাব সৈয়দা সারওয়ার জাহান ২০২০ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সরকারি চাকরীতে যোগদান করেন। শুরুতে সহকারী কমিশনার ও ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনায় যোগদান করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজারে সহকারী কমিশনার ও ২য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সদর উপজেলার থানা/উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ও পরবর্তীতে আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে এবং উপ-পরিচালক হিসেবে ও কক্সবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হিসেবে, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম ও জেলা পরিষদ, ফেণীতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, অতঃপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা একজন সৎ, আদর্শবান সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা একজন আদর্শবান গৃহিণী ছিলেন। চট্টগ্রামের ডাঃ খাস্তগীর সরকারী গার্লস হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি রসায়নে এবং পরবর্তীতে সমাজতত্ত্ব নিয়ে অধ্যয়ন করেন। এবং বি.এড ডিগ্রী ও অর্জন করেন। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে তিঁনি এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর প্রয়াত স্বামী শওকত হাফিজ খান রুশনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, কবি ও কলামিষ্ট ছিলেন এবং তিনি রাউজান উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন। সৈয়দা সারওয়ার জাহান তাঁর কর্মজীবনে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করে সংশ্লিষ্ট সকলের আস্থা অর্জন করেছেন। যখন যে অবস্থানে কর্মরত ছিলেন দেশের কল্যাণের লক্ষ্যে তাঁর অবস্থান থেকে অবদান রাখার নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন। বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করে তিনি এর মাধ্যমে দেশের আর্থিক, পরিবেশগত ও মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং রাবার চাষের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়াপ্রত্যাশী।